About পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন

জলবায়ু ও মাটি : ড্রাগন ফলের জন্য শুষ্ক জলবায়ু দরকার। মাঝারি বৃষ্টিপাত ভালো। তবে অধিক বৃষ্টি হলে ফুল ঝরে যায় ও ফলে পচন দেখা যায়। পানি জমে না এমন উঁচু যেকোনো মাটিতে ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। রোদ, খোলামেলা জায়গা ও প্রচুর জৈবসারে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।

হার্টের যত্নে এবং সুস্থ্য ধরে রাখতে ড্রাগন ফল বেশ কার্যকারী। ড্রাগন ফলে থাকা বিভিন্ন রকম উপকারি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ । ওমেগা-৩ এবং ৯ আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারক। তাই হার্টে সুস্থ্য রাখতে ও ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে ড্রাগন ফল দ্ধারা উপকৃত হওয়া সম্ভব। ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের অসুস্থ্যতার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া এটি আমাদের মানসিক চাপ কমাতেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।

মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ উজ্জ্বল, পরোক্ষ আলো পছন্দ করে তবে কম আলোতেও গাছ বেড়ে উঠতে পারে। এটি সকালের আলো পছন্দ করে এবং সূর্যের আলোতে ভালভাবে বিকাশ লাভ করে। সুতরাং, গাছটিকে জানালার কাছে দিনের আলোতে রাখলে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, তবে প্রখর সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন, যা পাতা ঝলসাতে পারে।

কাটিং বা চারা পাওয়ার স্থান: ড্রাগন ফলের সুস্থ ও রোগমুক্ত কাটিং বা চারা বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত বৃহৎ জার্মপ্লাজম সেন্টার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন হার্টিকালচার সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণা কার্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যায়।

মিরসরাইয়ে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ

কান্ড ও গোড়া পচা রোগ : ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয় এ রোগ হলে কা- প্রথমে হলুদ রঙ পরে কালো রঙ ধারণ করে। পরে ওই অংশে পচন শুরু এবং পচার পরিমাণ বাড়তে পারে। এ রোগ দমনের জন্য ছত্রাকনাশক যেমন- বেভিস্টিন, রিকোমিল, থিওভিট ইত্যাদির যে কোনো একটি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রত্যেকবার জল দেওয়ার পরে গাছের উপরের মাটি ঝরঝরে করে নিয়ে পরবর্তী সময়ে জল দিতে হবে।

গোড়ায় অতিরিক্ত জল জমলে মূল পচে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মাটির ভেতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পঁচতে পঁচতে গাছের সমস্ত মূল পচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে ড্রাগন ফল গাছ চাষ করতে হবে। বর্ষাকালে ৭দিন অন্তর অন্তর ব্যাকটেরিয়া নাশক এবং ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে গাছে এবং গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।

বছরের যেকোনো সময়েই গোলাপের চারা প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ আশ্বিন-কার্তিক, মাঘ ফাল্গুন গোলাপ গাছ প্রতিস্থাপনে উত্তম সময়।

আগাছা অপসারণ করে নিয়মিত সেচ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে চারপাশে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ লতানো এবং ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হওয়ায় সাপোর্টের জন্য ৪ টি চারার মাঝে ১টি সিমেন্টের ৪ মিটার লম্বা খুঁটি পুততে হবে। চারা বড় হলে খড়ের বা নারিকেলের দড়ি দিয়ে বেধে দিতে হবে যাতে কাণ্ড বের হলে খুঁটিকে আঁকড়ে ধরে গাছ সহজেই বাড়তে পারে।

মা হচ্ছেন ঐশ্বর্য? সত্যি চেপে রেখে বচ্চনবধূ চালিয়ে যান এই কাজ

ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবেনা। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ বালাইয়ের আক্রমন হয়না তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হয়। চারা লাগানোর পর ড্রাম টি রোদ যুক্ত স্থানে রাখুন। more info এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলে চাষে খুব বেশি পানি দিতে হয়না। চারায় পানি দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন যেন গোড়ায় পানি না জমে। ড্রামের ভিতরের বাড়তি পানি সহজেই বের করে দেবার জন্য ড্রামের নিচের দিকে ৪ থেকে ৫ টি ছিদ্র করে দিন মাটি ভরাট করার পুর্বেই। ড্রাগন গাছের ডালপালা লতার মত হওয়ার কারনে গাছের হালকা বৃদ্ধির সাথে সাথেই খুঁটির সাথে বেঁধে দিবেন এতে করে গাছ সহজেই ঢলে পরবেনা।

শিকড় পচা রোগ হলে আক্রান্ত গাছ তুলে বাকি গাছে ও মাটিতে ভালো করে কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। শিমের গোড়া ও শিকড় পচা রোগ সাধারণত বর্ষার শুরুতে বা অতি বর্ষণের ফলে গোড়ায় পানি জমলে হয়। তবে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে ও উচ্চ তাপমাত্রায় গোড়া পচা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।

সমতল ভূমির তুলনায় উঁচু স্থান বা পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপণ প্রদ্ধতির আদর্শ স্থান। যে স্থানে সহজে জল দাঁড়ায় না এমন উঁচু স্থান ড্রগন গাছের জন্য নির্বাচন করতে হবে এবং দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সূর্যের আলো পায় তেমন স্থান গাছ বেড়ে ওঠবার জন্য এবং ফল দেওয়ার জন্যে উত্তম। চারা রোপণের জন্য উপযোগী সময় হলো এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “About পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন”

Leave a Reply

Gravatar